নগরীর অরক্ষিত খাল এবং নালার পাশে ব্যারিয়ার দেওয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। একই সাথে উন্মুক্ত নালাগুলোতে স্ল্যাব বসানোরও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বর্ষাকালে জলাবদ্ধতায় নাকাল নগরীতে খাল এবং রাস্তা একাকার হয়ে উঠলেও যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে সেজন্য উন্মুক্ত নালাগুলোতে স্ল্যাব এবং খালের পাড়ে ব্যারিয়ার দেওয়ার এই উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
এই নিয়ে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন,নগরীর নিম্নাঞ্চলের খাল এবং নালাগুলোকে নিরাপদ করার পন্থা বের করতে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা দুইটি বিশেষ কারণে নালার উপর স্ল্যাব দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রথমত, নালার পাশে যেসব দোকানপাট বাসা বাড়ি রয়েছে তারা উন্মুক্ত নালাতেই তাদের সমুদয় ময়লা আবর্জনা ফেলে। এতে নগরীর পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়ে। নালায় যেন কেউ ময়লা ফেরতে না পারেন সেজন্য নালার উপর স্ল্যাব দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। দ্বিতীয়ত, খাল এবং নালা উন্মুক্ত থাকায় বৃষ্টির সময় সমস্যা হচ্ছে। এভাবে পথচারীর মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না, আমরা যেসব স্থানে রাস্তার পাশে এই ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ খাল এবং নালা রয়েছে সেগুলোতে ব্যারিয়ার দেয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পুরো শহরের সব খালের পাড়ে দরকার হবে না। যেখানে যেখানে ঝুঁকি রয়েছে সে স্থানগুলোতে আমরা ব্যারিয়ার দেবো।
বৃষ্টি হলে শহরে পানি হবে। জলাবদ্ধতা নিরসনে যেসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে সেগুলো সম্পন্ন হলে পানি দ্রুত নিষ্কাশন হবে। তাই যেসব স্থানে খাল এবং নালা অরক্ষিত রয়েছে আমরা সেগুলোতে আর যাতে কোন অঘটন না ঘটে সেজন্য বিশেষ উদ্যোগ নিতে যাচ্ছি। আমি প্রকৌশলীদের বিষয়টি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শুরু করারও নির্দেশনা প্রদান করেছি।
Leave a Reply